বিয়ানীবাজারের বিস্তৃর্ণ প্লাবিত হয়েছে। ভারতের পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে উপজেলার দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মুড়িয়া, মাথিউরা, তিলপাড়া ও পৌরসভার কিছু অংশে বন্যা দেখা দিয়েছে। চলাচলের রাস্তা, হাটবাজার, ও বসতবাড়ি কবলিত হয়েছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার মহাসড়কের আঙ্গারজুর এলাকার উপর দিয়ে বইছে বানের পানি। প্রতি বছর বর্ষাকালে বৈরাগীবাজারের পূর্ব বাজার কুশিয়ারা নদীর পানিতে তলিয়ে যায় বিপাকে পড়েন বৈরাগীবাজারের সবজি, মাছ ও মহাজনপট্টির ব্যবসায়ীরা। মহাজনপট্টির অনেক দোকানের বিতরে পানি ডুকে মালামাল নষ্ট হওয়ার উপক্রম। তাদের প্রতি বর্ষাকালে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। এদিগে বৈরাগীবাজারের অনেক রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যা কবলিত মহাসড়ক, হাটবাজারসহ বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না। তিনি জানান, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে গত শনিবার কন্ট্রোল রুম স্থাপন এবং ৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।।।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। একই নদীর জকিগঞ্জের অমলসীদে ১দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বৈরাগীবাজারের সবজি ও মাছ বাজার প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। এতো ভোগান্তি ও ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঝুঁকির মূখে রয়েছে কুশিয়ারা নদীর গজুকাটা এলাকার ডাইক। বিজিবি সদস্যরা বালুবর্তী বস্তা ফেলে ক্ষতিগ্রস্থ ডাইক মেরামত করেছেন। তবে নদীর পানি চাপে এ বাঁধ যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.