মাত্র তিনদিন আগে বিয়ে করেছিলেন বেশ ধুমধামে। কিন্তু তারপর কি হলো কেউ জানেনা। দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হলো! এনিয় এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। আর তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জন্য বিষয়টি এক মহা ট্র্যাজিডি।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের পর তার কোম্পানীগঞ্জের লামাগ্রাম কামালবস্তী গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে জাকারিয়া আহমদ।
গত সোমবার প্রতিবেশী কাকুরাইল গ্রামে ধুমধামে তিনি বিয়ে করেন। ধুমধাম মানে সাধ্যমতো আরকি। পারিবারিক অবস্থা তেমন স্বচ্ছল নয়। বাবা আলাউদ্দিন একজন দিনমজুর। তাও ইদানিং কাজকর্ম বলতে গেলে তেমন একটা করতে পারেন না। কখনো কাজ জুটেনা আবার কখনো বা শরীরে কুলায়না।
ভরসা ছিলেন জাকারিয়া। মাত্র ২৩ বছর বয়স হলেও বাবা মা দুই ভাই ও এক বোনের সংসারের হাল ধরেছিলেন তিনিই। বিয়ে করেছিলেন সংসারটিকে আরও সুখী করতে। কিন্তু কেউ জানেন না তার ভেতরে কি ছিল?
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাকে পাওয়া যাচ্ছিলনা। কাউকে কিছু না জানিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর আর ফিরেন নি।
সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উৎমা সীমান্তের ৫০ গজ ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখে স্থানীয়রা বিজিবি খবর দেন। বিজিবি বিএসএফ’র সাথে যোগাযোগ করলে তারা লাশটি উদ্ধার করে এবং পরবর্তীতে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে।
জাকারিয়ার লাশ নিয়ে এখন শোকের মাতম চলছে। অসহায় পরিবারটির প্রধান অবলম্বনকে এভাবে হারিয়ে তারা দিশাহারা। আর বিয়ের মাত্র তিনদিনের মাথায় স্বামীকে হারিয়ে শোকে অনেকটা পাথর তার নববিবাহিত স্ত্রী।
এদিকে জাকারিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর সচেতন মহলে আরও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সত্যি কি তিনি আত্মহত্যা করেছেন? নাকি কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে? এটা কি কোনো চোরাকারবারী নেটওয়ার্কের কাজ? লেনেদেনে সমস্যার জেরে এমন পরিণতি জাকারিয়ার? নাকি কোনো ভারতীয় খাসিয়ার কাজ? হতে পারে অন্য কিছু, অন্য কোনো ঘটনা।
তাই তার গ্রামবাসীর দাবি, খতিয়ে দেখে জাকারিয়ার মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করা হউক।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.