আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের ফাইনালে মুখোমুখি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে আজ শুরু হচ্ছে টেস্টের ‘লর্ড’ হওয়ার লড়াই। ফাইনালে প্রোটিয়াদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও বড় প্রতিপক্ষ ‘চোকার’ তকমা।

১৯৯৮ সালের মিনি বিশ্বকাপ (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) ছাড়া আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। নকআউট ম্যাচে চাপের মুখে তাদের ভেঙে পড়ার ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। তবে গত কয়েক বছরে আইসিসির সব সংস্করণের বৈশ্বিক আসরেই ভালো করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছর তারা টি ২০ বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছে।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছে। এছাড়া পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে তারা। প্রোটিয়াদের চোখ এবার শিরোপায়।

গত আসরের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া অস্ট্রেলিয়া আইসিসি টুর্নামেন্টের সফলতম দল। সব মিলিয়ে এবারও তারা ফেভারিট। তবে নিজেদের পিছিয়ে রাখতে নারাজ দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, ‘অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সফলতম দল। তারা জানে ফাইনালে কীভাবে জিততে হয়। আমাদের জন্য ব্যাপারটা নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রাখার। জেতার জন্যই ফাইনালে খেলব আমরা। প্রতিপক্ষকে সমীহ করেই বলছি, ফাইনালে দুদলেরই সমান সুযোগ দেখছি আমরা।’ 

    বাভুমার নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত নয় টেস্টের আটটিই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যটি ড্র করেছে।

    ফাইনাল ড্র বা টাই হলে দু’দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।

    অস্ট্রেলিয়ার বড় শক্তি তাদের পেস আক্রমণ। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে আছেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। ম্যাচের শেষ ভাগে স্পিনে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন নাথান লায়ন। 

    তবে রাবাদা, ইয়ানসেনদের নিয়ে গড়া দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণকেও সমান ভয়ংকর মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং স্তম্ভ স্টিভ স্মিথ, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। কাগিসো রাবাদার রেকর্ডই তার হয়ে কথা বলে। মার্কো ইয়ানসেনও ভয়ংকর। ভালো দল বলেই তারা ফাইনালে। কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের।’ 

    ফাইনাল ড্র বা টাই হলে দু’দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।

    Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.