সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজের চাকা বিস্ফোরিত হয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ।

এর আগে দুপুরে বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজের একটি চাকা বদলের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন দুই টেকনিশিয়ান। তাদের মধ্যে রুম্মান আহমদ (২২) নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন টিলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদিরের ছেলে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে বোর্ডিং ব্রিজের পুরনো চাকা খুলে নতুন চাকা বসানোর কাজ করছিলেন ‘সানরাইজ এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। এ সময় একটি চাকা খোলামাত্র সজোরে গিয়ে ধাক্কা দেয় রুম্মান আহমদ ও এনামুল হক (২৫) নামে আরেক কর্মীকে। সঙ্গে সঙ্গেই চাকা বিস্ফোরিত হয়ে দুজনই গুরুতর আহত হন।

আহতদের দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানকার আইসিইউতে সিট না থাকায় রুম্মানকে স্থানান্তর করা হয় জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও আইসিইউ না পেয়ে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, “টেকনিক্যাল কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি শুনেছি, আমাদের হেড অফিস (বেবিচক) বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে।”

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.