যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে পড়েছে সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রায় ১১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে এই বিদ্যুতকেন্দ্রটি।
কুমারগাও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রের একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়েছে। এটি মেরামত করে আবার সচল করতে আরও সাত থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
আর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমারগাও বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে স্থানীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এটি বন্ধ থাকায় সিলেটে এখন শুধু জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার (এনএলডিসি)।
এদিকে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় সিলেট অঞ্চলে লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে। সিলেট কয়েদিন ধরেই গরম বেড়েছে। গরমের মধ্যে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তবে রোববার দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এতে লোডশেডিংও কিছুটা কমেছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির রেববার বলেন, কুমারগাও বিদ্যুতকেন্দ্র আজ ১১ দিন ধরে বন্ধ। কবে এটি চালু হবে তা সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করে জানাচ্ছেন না। কেবল বলেন- মেরামত কাজ চলছে।
প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, সিলেট বিভাগে দৈনিক চাহিদা প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০০ মেগাওয়াট। তাই লোডশেডিং বেড়েছে। কুমারগাও বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু না হলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
কুমারগাও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান রোববার জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়েছে। এটি চেঞ্জ করা হচ্ছে। এছাড়া কিছু রক্ষনাবেক্ষন কাজ করা হচ্ছে। এসব কাজ শেষ করে কেন্দ্রটি চালু করতে আরও ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, ‘পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় আমাদের কিছু এলাকায় লোডশেডিং করতে হয়। তার উপর আবার ঢাকা থেকে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ। পুরো সিস্টেমে ফিকুয়েন্সি ডাউন হয়ে গেলে ঢাকা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। ইদানীং প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই মানুষজন বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.