মিডটাউন ম্যানহাটনে সোমবার অফিস ভবনে বন্দুক হামলায় যে চারজন প্রাণ হারান, তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডির কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম।

এ কর্মকর্তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এনওয়াইপিডিসহ নিউ ইয়র্ক সিটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা। তারা উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন বাংলাদেশি এ কর্মকর্তার।

নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ কর্মকর্তাসহ নগরের কর্মকর্তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার দিদারুলের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। তার দাফন হয়েছে নিউ জার্সির টটোয়ার একটি বেসরকারি কবরস্থানে।

এর আগে এ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে এনওয়াইপিডি। তাকে ডিটেকটিভ বা গোয়েন্দা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় বলে জানায় সিবিএস নিউজ।

মরণোত্তর এ পদোন্নতির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।

সিবিএসের খবরে উল্লেখ করা হয়, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে জানাজা হয় দিদারুলের। জানাজাস্থলের আশপাশে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। এতে অংশ নেন হাজারো পুলিশ কর্মকর্তা এবং দিদারুলের স্বজনসহ শত শত মানুষ।

জানাজায় এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন, দিদারুল নায়ক হিসেবে বেঁচে ছিলেন। তিনি নায়কোচিতভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন।

তিনি জানান, দিদারুল দুই নগরের সন্তান। তিনি বাংলাদেশে বেড়ে উঠে ২০ বছর বয়সে উন্নত জীবনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিউ ইয়র্কে আসেন। তিনি কাঙ্ক্ষিত জীবন গঠন করে সেবার মাধ্যমে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন।

নিউ ইয়র্কে দিদারুলের ক্যারিয়ারের শুরুটা হয় স্কুল সেইফটি এজেন্ট হিসেবে, যিনি পরবর্তী সময়ে পেট্রল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পান।

নিবেদিত পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ৩৬ বছর বয়সী দিদারুলকে স্মরণ করেছেন সহকর্মীসহ অনেকে। কয়েক সপ্তাহ পরই তৃতীয় সন্তানের বাবা হওয়ার কথা ছিল তার, কিন্তু তার আগেই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, দুই সন্তান, স্বজন ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে বন্দুক হামলায় প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে।

পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলের দেশের বাডী (সিলেটের কুলাউড়ায়) তিনি নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কসের বাসিন্দা।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.