সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে নিখোঁজ হওয়া এক দিনমজুরের মরদেহ কুশিয়ারা নদীর ভারতীয় অংশ থেকে উদ্ধার করেছে ভারতের পুলিশ। পরে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহটি বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়।
ওই ব্যক্তির নাম মো. আব্দুল মালিক (৪২)। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার মৌলভীরচক গ্রামের বাসিন্দা ও মো. ইব্রাহিম আলীর ছেলে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, ভারতের আসামের করিমগঞ্জ থানা পুলিশ কুশিয়ারা নদীর ভারতীয় অংশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষে ভারতের করিমগঞ্জে বসবাসরত আব্দুল মালিকের আত্মীয়-স্বজন মরদেহটি শনাক্ত করেন।
মরদেহ শনাক্তের পর বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শনিবার রাতে কাস্টমঘাট সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে তা নিহতের স্ত্রী নাছিমা বেগম ও ভাই ওয়াহিদুর রহমানের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
আব্দুল মালিকের স্ত্রীর বরাতে পুলিশ জানায়, গত ৮ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল ৯টায় আব্দুল মালিক উপজেলার ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়নের হাজীগঞ্জ বাজারে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেন নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ১৫ জুলাই রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের বিপরীত পাশে কুশিয়ারা নদীর ভারতীয় অংশে একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে ভারতের করিমগঞ্জে বসবাস করা আব্দুল মালিকের আত্মীয়-স্বজনরা লাশটি আব্দুল মালিকের বলে সনাক্ত করেন।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, আব্দুল মালিক প্রায়ই জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাতায়াত করতেন। স্থানীয় অনেকের ধারণা, স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন এবং পরে মৃত্যুবরণ করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.