কলম্বোয় দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা। লেজের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২৪৪ রানের স্কোর এনে দিয়েছেন তিনি। তাতে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।

আসালাঙ্কা সামনে থেকে নেতৃত্ব না দিলে এই স্কোরটা পেত না শ্রীলঙ্কা। কেননা তানজিম হাসান সাকিব আর তাসকিন আহমেদের পেসের তোপে শুরুতেই ধুঁকছিল শ্রীলঙ্কা। ২৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এর মধ্যে দুই উইকেট নেন তাসকিন।তবে ‍বাংলাদেশের উইকেট উদযাপনের শুরুটা করেন তানজিম সাকিব।

সেখান থেকে কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আসালাঙ্কা। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে মেন্ডিসকে আউট করে তাদের ৬০ রানের জুটিটা ভাঙেন অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে ৪৪ রান খরচ করে এক উইকেটই পেয়েছেন তিনি।

পঞ্চম উইকেটে জনিত লিয়ানাগের সঙ্গে ষাটোর্ধ্ব (৬৪) আরেকটি জুটি গড়েন আসালাঙ্কা। ২৯ রানে লিয়ানাগেকে আউট করে জুটি ভাঙেন পারটাইম স্পিনার ও সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অন্য সতীর্থরা আসা-যাওয়া করলেও বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে থাকেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। 

আসালাঙ্কা দাঁড়িয়ে গেলেও অপর প্রান্তের ব্যাটারদের খুব একটা স্বস্তিতে ব্যাটিং করতে দেননি তাসকিন-তানজিম সাকিবরা।

শুরুর মতো শেষটাও দারুণ করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাই তো আসালাঙ্কা ১০৬ রানের ইনিংস খেললেও লক্ষ্যটা আড়াই শর নিচেই পেয়েছে বাংলাদেশ। ২৪৪ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা।

নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে আসালাঙ্কা তার ১০৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ ‍উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন আরেক পেসার তানজিম সাকিব।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.