ফোনে ডেকে নিয়ে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। গতকাল রাতে মিরপুর এক নম্বরে ঘটনাটি ঘটে। পরে মিরপুর মডেল থানায় রাতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশের তারকা পেসার তাসকিন।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে তাসকিন জানিয়েছেন, অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা। ভুয়া জিডি করে তাকে বিব্রত করার চেষ্টা মাত্র। তাসকিন বলেছেন, বাসা পরিবর্তন নিয়ে আমি ব্যস্ত আছি। ওকে ওদের মারিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে পুরোটাই মিথ্যা।
অভিযোগের ব্যাখায় তাসকিন বলেছেন, ‘আমার বন্ধু রসি নামে একজন আছেন। ওরা আমার এই বন্ধুকে মেরেছে। তাই মোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেবকে ফোন করেছিলাম। পুলিশ গিয়ে ওদেরকে মোহাম্মদপুরে খুঁজেছে। এজন্য এরা উল্টো আমার নামে জিডি করেছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে তাসকিন আরও বলেছেন, ‘ওর (সৌরভ) খালা আমার বাবাকে ফোন দিয়ে বিচার দিয়েছিল। আমার বাবা আবার ওই ঘটনার কিছুই জানতো না। আমার বাবা এভাবেই বলেছে, ‘ছোট বেলার বন্ধু, এক সাথে মিলে মিশে থাকবে।’ আসলে গত কয় মাস ধরে ওদের সাথে এখন মিশি না, তাই এখন ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
তবে তাসকিনের বিরুদ্ধে থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, তাসকিন ফোন করে সৌরভকে মিরপুর ১ নম্বরে ডেকে নেন এবং সেখানে তাকে কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। এছাড়া অভিযোগকারীকে ভয়ভীতি ও হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সৌরভ।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। পরিচালক এবং আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেছেন, ‘মিডিয়াতে নিউজটা সকালে দেখলাম। আমাদের আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং ফাহিম ভাইও দেখেছে। এটা নিয়ে অলরেডি তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। এটা যদি ঘটে থাকে তাহলে সেটা খুব দুঃখজনক। আইকন প্লেয়ার এসবে জড়ানো উচিত না। আমি এই ব্যাপারে আর মন্তব্য করতে চাচ্ছি। কি হয়েছে সেটা আগে বের হোক।’
থানা সূত্র জানিয়েছে, তাসকিন ও সৌরভের মধ্যে আগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাসকিনও সেটি স্বীকার করেছে। তবে তাসকিন ও সৌরভ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.