সিলেটের রাস্তায় ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে সিলেটের রাজপথে নামেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে তারা সিলেটের রাজপথে শিক্ষা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় তারা সিলেট-জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে দাড়িয়ে আছরের নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ পরবর্তীতে তারা শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদত্যাগ চেয়ে মোনাজাত করেন। ওইসময় অনেক যানবাহন আটকা পড়ে জানজটের সৃষ্টি হয়। 

এর আগে, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে সিলেটের রাজপথে নামেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে তারা সিলেটের রাজপথে মিছিল করে এখন শিক্ষা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করছে। 

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলের দিকে ঢাকায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে পড়লে তাদের লাঠিচার্জ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সিলেটের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। তারা মিছিল নিয়ে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। তারা শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিকেল ৪টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। তারা রাস্তায় বসে, দাঁড়িয়ে এবং শুয়ে শুয়ে মিছিল দিতে থাকেন। এসময় রাস্তার উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। 

রাস্তায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা সিলেটভিউর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বড় দুর্ঘটনায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রাণ হারিয়েছে। গোটা দেশ এবং বিশ্ব যখন শোক প্রকাশ করছে, তখন আমাদের শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রনলয়ের বড় কর্তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। কখন কি পদক্ষেপ নিতে হবে তারা জানেন না। এত বড় শোক বুকে নিয়ে আমরা কিভাবে পরীক্ষায় বসতাম? তারা, পরীক্ষা স্থগীতের সিদ্ধান্ত জানায় রাত তিনটার সময়। অথচ চরম হতাশা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী তবু বাধ্য হয়ে তখন কেন্দ্রে যাওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অনেকে কেন্দ্রে গিয়ে জেনেছেন পরীক্ষা স্থগীত করা হয়েছে। এমন শিক্ষা উপদেষ্টা আমরা চাইনা। তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বোনা।

মোগলবাজার থানার ডিউটি অফিসার বেবী রানী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের ডিসি, মোগলবাজার থানার ওসিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন। তারা সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষন করছেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় গভীর রাতে পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.