সিলেটের গোলাপগঞ্জের এখলাছপুর গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষের জেরে হামলায় ৩ সহোদরসহ ৬জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে  ৩ ভাই মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। 

তাদের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনায় ৬০ জনের নামে মামলা হয়েছে। 

আসামিদের গ্রেপ্তারে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান ম্যোল্লা। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জের এখলাছপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান ও একই গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে তাজ উদ্দিনের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার সকালে তাজ উদ্দিন তার পক্ষের শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জায়গা জোর দখল করতে গেলে খলিলুর রহমান তাদেরকে বাঁধা প্রদান করেন। এসময় কুড়ালের আঘাতে খলিলুর রহমান মাঠিতে লুঠিয়ে পড়েন। 

খলিলুর রহমানকে বাঁচাতে তার আপন ভাই ফখরুল ইসলাম ও মন্জুর আহমদ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র ধারা মাথায় আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে তাজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজন খলিলুর রহমানের বাড়িতে ও মুদি দোকানে হামলা করে লুঠপাট করে। তাদের আক্রমনে খলিলুর রহমানের স্ত্রীসহ বাড়ির ৩জন মহিলাও গুরুতর আহত হন। তাজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের আক্রমনে ও লুঠপাটে অর্ধ কোটির বেশি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী খলিলুর রহমানের ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন।

গোলপগঞ্জ মডেল থানা সূত্রে জানাযায়, খলিলুর রহমানের ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫০/৬০জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। মামলাটি ইতিমধ্যে থানায় রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছেন। 

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চা চেষ্টা চালাচ্ছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.