সিলেটের বিশ্বনাথে ছুরিকাঘাতে ওমর ফারুক (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের একাদ্বশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর পিতা উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পাহাড়পুর ভাটগাঁও গ্রামের নূরুল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ৩ (তাং ৪.০৮.২৫ইং)।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ ইন্তাজ আলীর পুত্র আব্দুল মুকিত (৩০) ও মুহিব আলী (২৭)।
মামলার এজাহারে বাদী নূরুল আমিন উল্লেখ করেন, পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা মুকিত ও মুহিবের সাথে বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে আমার পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ৪ জুন মুহিবের বিরুদ্ধে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে’ আমি একটি মামলা (৫/৮০) দায়ের করি। এরপর থেকে তারা আমার ও আমার পরিবারের লোকদের ক্ষতি করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। আর এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত ৭.৪৫ টার দিকে গোমরাগুল গ্রামে যাওয়ার পথে ঘাসিগাঁও গ্রামের তামবির আলীর বাড়ির সামনের রাস্তা পৌঁছামাত্রই ‘মুকিত ও মুহিব’ আমার ছেলে ওমর ফারুককে গালাগাল শুরু করে। আমার ছেলে এর প্রতিবাদ করতেই ‘মুকিত ও মুহিব’ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার (ওমর ফারুক) শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল মুকিত বলেন, নূরুল আমিন আমাদের জায়গা দখল করায় আমি প্রতিবাদ করে ছিলাম বলে তিনি (নূরুল আমিন)’সহ ৬ জন আমাকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করেন। তারা আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় ও বুকে কয়েকটি কুপ দেয়। আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেই। সেটি তুলে নিতে তারা আমাকে হুমকি-দামকি দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছে।
এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.