করোনাভাইরাসের কারণে বিয়ানীবাজার উপজেলা সহ সারা দেশে এবার বই উৎসব হয়নি। উৎসব না হলেও সংক্রামণ এড়াতে এবার ব্যতিক্রমীভাবে শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালে বই বিতরণ করা হয় বৈরাগীবাজারের স্কুলগুলোতে।ওইদিন দুপুর ১২টার মধ্যেই বই বিতরণ শেষ হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃথক শ্রেণী কক্ষে বই বিতরণ করেন শিক্ষকরা। তবে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। উৎসব না হলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে আনন্দের ছাপ।নতুন বছরের প্রথম দিনে শীতকে উপেক্ষা করে বৈরাগীবাজার এলাকার স্কুলগুলোতে উপস্থিত হয় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। স্কুলের শিক্ষকরা একে একে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অনেকদিন পর তাদের সাথে খোশগল্পে মেতে উঠেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যের প্রতি আরও বেশী সচেত হয়ে উঠেন। স্কুলে বই নিতে আসা খুদে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে দেখা গেছে।

তবে বৈরাগীবাজার এলাকার অধিকাংশ স্কুলে দেখা গেছে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বই সংগ্রহ করছেন। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বৈরাগীবাজার এলাকার, বৈরাগীবাজার সিনিয়র মাদ্রাসা সিনিয়র মাদ্রাসা, খশির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গড়রবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজারিশাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৈরাগীবাজার আদর্শ বিদ্যানিকেতন, আঙ্গারজুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খশির হাজী সাইদ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরিজখাটিল্লা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই নেয়ার জন্য অনেক শিক্ষার্থী আসেন।

সিলেটের শিক্ষা অফিসার নামজিদ খান বলেন, এবার সিলেটে কোন বই উৎসব না হলেও বই নিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদে

জানা যায়, সিলেটের ১৩ উপজেলায় ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর এবং নৃ-গোষ্ঠীর বই বরাদ্দের কথা ছিল ২৬ লাখ ৮ হাজার ৬২৬টি। এই চাহিদার মধ্যেও প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ২১ লাখ ৭ হাজার ২৬টি। সেই হিসেব অনুসারে এখনও সিলেটের ১৩ উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ বইয়ের। ঘাটতি হওয়া বইগুলোর প্রিন্ট শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হবে। এরমধ্যে ৬টি উপজেলায় শতভাগ বই পৌঁছালেও অন্য ৭টি উপজেলায় শতভাগ বই এখনও পৌঁছায়নি। সিলেটের ১৩ উপজেলার মধ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৭২ হাজার ৬০০। বিশ্বনাথ উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৫১ হাজার ৭৪০। বিয়ানীবাজার উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৬৯ হাজার ৮৫০। জকিগঞ্জ উপেজলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৭৬ হাজার ৬৫০। জৈন্তাপুর উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৫৮ হাজার ২৩২। গোয়াইনঘাট উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৯২ হাজার ৫৪৮ এবং কোম্পানীগঞ্জে বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ১৬ হাজার ৯৮০।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *