বিয়ানীবাজারে নির্মাণ শ্রমিক নজরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নজরুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যায় প্রেমঘটিত বিষয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও সন্দেহভাজন এক তরুণকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ এমন তথ্য জানান বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর।
জানা গেছে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার থানার সার্কেল সুদীপ্ত রায়, বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের টিকরপাড়া এলাকা থেকে আব্দুল মুবিন লিমন নামের এক তরুণকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এসময় তার বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র ছুরি ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত তরুণ আব্দুল মুবিন লিমন উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের টিকরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও লাউতা ইউপি সদস্য মুহিব উদ্দিনের ছেলে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর জানান, নজরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা রোববার রাতে সন্দেহভাজন এক তরুণকে গ্রেফতার করি। পরে তাকে থানা হেফাজতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা তিনি। তিনি বলেন, আমরা এ হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবো।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের নন্দীরফল গ্রামের একটি নির্জন স্থান থেকে নির্মাণ শ্রমিক নজরুল ইসলামের (৪৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।