করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ৭ আগস্ট বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের নির্দিষ্ট তিনটি করে টিকা কেন্দ্রে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া হবে। এর আগে প্রতি ইউনিয়নে তিনদিন করে টিকা প্রয়োগের সূচি গণমাধ্যমকে জানানো হলেও বুধবার সন্ধ্যায় একদিনের কার্যক্রম পরিচালনার কথা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী।
সর্বস্তরের মানুষের সুবিধায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে তিনটি করে মোট ৩০টি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়ে ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে প্ররতিটি ইউনিয়নে তিনদিনের পরিবর্তে একদিনের জন্য গণটিকা প্রয়োগের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা গ্রহণের জন্য ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের মাধ্যমে কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। টিকাদানের নাম-তালিকা প্রণয়ন ও বাছাইকরণসহ সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
তিনি আরও জানান, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, মহিলা ও পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক পুরুষ, প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছাড়া যাদের বয়স ১৮ ঊর্ধ্ব এবং তাদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, শুধু তারাই এই কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে সক্ষম হবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোনভাবেই টিকা প্রদান সম্ভব হবেনা। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে এই মুহূর্তে টিকা দেয়া যাবেনা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী জানান, আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন না করে থাকলেও টিকা নিতে আসার সময় অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপি আনতে হবে এবং একটি সচল সেলফোন নম্বর থাকতে হবে। টিকা গ্রহণ প্রক্রিয়াটি পুরোপুরিভাবে বিনামূল্যে। এই প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে অতিদ্রুত সকল জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা হবে।