বিয়ানীবাজার উপজেলার বৈরাগীবাজার পল্লী বাউল লোক সংগীতালয়ের উদ্যোগে বৈরাগীবাজার এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে ১৫তম সংবর্ধনা ও বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠান (৩০ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত ৭ ঘটিকায় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ছাদিকুর রহমানের সঞ্চালনায়, পল্লী বাউল লোক সংগীতালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক এস.এম মানিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক নূর। অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত পাঠ করেন রাহাত আহমদ, পল্লী বাউল লোক সংগীতালয়ের সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দাস এর শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক নূর, সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৭নং তালিমপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত ৫নং কুড়ারবাজার ইউপি’র চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তুতা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল ঋনদান সমবায় সমিতি প্রা: লি: এর চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সন্তান হারুনুর রশীদ, ৬নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ, বৈরাগীবাজার ইউনিটি ইয়াং ক্লাব এর সাবেক সভাপতি ও জালালাবাদ এসোসিয়েশ অব ব্রাজিলের সহ-সভাপতি জাবের আহমদ জুবের, দৈনিক পঞ্চবানীর প্রধান সম্পাদক এম.এ ওমর, ৭নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক, হারুনুর রশীদ, ব্যবসায়ী আব্দুর রহীম, লুৎফুর রহমান, ফয়েজ আহমদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ৮নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মো: জালাল উদ্দিন, ওয়াল্টন বৈরাগীবাজার এর স্বত্বাধীকারী আব্দুস শহিদ। বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, ইতালী নেপলী শাখার সভাপতি ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব ইতালী নেপলী শাখার প্রচার সম্পাদক জুনেদ হাসান। সাবেক ফুটবলার ছয়দুর রহমান, বৈরাগীবাজার নিউজ ডটকম এর বার্তা সম্পাদক হোসেন আহমদ কিররিয়া, কাতার প্রবাসী শাহিন আহমদ, সিরাজুল ইসলাম মানিক, জয়নুল ইসলাম, আলী হোসেন, ওয়েছ আহমদ, সালেহ আহমদ, হুমায়ুন কবির, ছাব্বির আহমদ, ইকবাল হোসেন, তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আশিক নুর বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আজ বাংলাদেশ নামের এই স্বাধীন দেশের জন্ম হতো না। আমাদের দেশ পরিচালনার জন্য যেসব দিক নির্দেশনা প্রয়োজন তার সবই তিনি দিয়ে গিয়েছেন। আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা যারা দেশ স্বাধীন করার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং ছিনিয়ে এনেছিলেন এদেশের স্বাধীনতা। আজকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এখানে সমবেত হতে দেখে আমি আনন্দিত।তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান আজ ১৭ বছর ধরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখনও কোন সরকারি অনুমোদন পায়নি। আমি এই উপজেলায় থাকাবস্থায় চেষ্টা করবো যেন এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারি অনুমোদন পায়।

অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের সম্মাননা স্মারক এবং বৈরাগীবাজার এলাকার জীবিত ও মৃত ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে সম্মাননা ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়।