গোলাপগঞ্জে মধ্যরাতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। ছিনতইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আটক দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইনসান আলী (৩০) নামের এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশ। সে উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের কলম মিয়ার ছেলে।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামের শওকত আলীর ছেলে লায়েক আহমদকে (৪০) গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার রনকেলী নয়াগ্রামের বাসিন্দা ও গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীর সাহেদ টেলিকম ও সাহেদ এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকারী সাহেদ আহমদ পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীর ভাই ভাই কমপ্লেক্সের ৬ষ্ট তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ব্যবসায় শেষ করে তার ছোট ভাই জাহেদ আহমদ (২৭) বাসায় যাচ্ছিলেন। ৪র্থ তলার সিঁড়িতে যাওয়া মাত্র পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৩জন ছিনতাইকারী তাকে ছুরিকাঘাত করে সাথে থাকা নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা ও বিকাশ-ফ্লেক্সিলোডে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
জাহেদের আর্তচিৎকারে তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়রা ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে ইনসান আলীকে আটক করেন। পরে তার দেয়া তথ্যমতে লায়েক আহমদকে গ্রেফতার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় সাহেদ আহমদ গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে ছুরিকাঘাতে আহত জাহেদ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফয়জুল করিম বলেন, এ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি চাকু ও ছিনতাইকৃত ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্য মোঃ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নগদ টাকা সহ অন্যান্য উদ্ধারে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।