সরকারের অনুগত লোক দিয়েই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে দাবি বিএনপির। দলটির নেতারা বলছেন, এটা আরেকটি হুদা কমিশন। এসব নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনার সরকার বা তাদের গঠিত কমিশনের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। ওই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তার অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে তাতে বিএনপিসহ সব দল অংশ নেবে। শনিবার নতুন ইসি গঠনের পর যুগান্তরের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির দুই নীতিনির্ধারক এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা সরকারের পছন্দের লোক। তারা সবাই সরকারের অনুগত, সুবিধাভোগী ও তোষামোদকারী। তারা এদের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তার দলের কোনো আগ্রহ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো কমিশন কাজ করতে পারবে না। এটা জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, সরকারকে পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। ওই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তার অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে তাতে আমরাসহ সব দল অংশগ্রহণ করব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার যে নাটক করেছে তার শেষ ধাপ ছিল শনিবার। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্চ কমিটি সরকারের তালিকা অনুযায়ী লোকদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে। রাষ্ট্রপতিও সরকারের দেওয়া পাঁচজনের তালিকা প্রকাশ করেছেন। এটা পুরোটাই নাটক। নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা এ সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ হয়েছে। প্রশাসনের সর্বত্র সরকারের লোকজন। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সরকারের সুবিধাভোগী। সরকার তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। অনুগত বলেই তাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এ কমিশন নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ ছিল না। এখনো নেই। নতুন ইসিতে যাদের নাম দেখলাম, এটা আরেকটি হুদা কমিশন হয়েছে। এদের প্রত্যেকেই শেখ হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী। তিনি বলেন, আমাদের কথা স্পষ্ট-শেখ হাসিনার অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। তার করা কোনো কমিশনের অধীনেও না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, তাদের করা নিরপেক্ষ ইসি ও প্রসাশন হলেই আমরা নির্বাচনে যাব।
সূত্রঃ যুগান্তর