মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ছেলের শাবলের আঘাতে আব্দুল গফুর (৫৮) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন মা হাসতন নেছা (৪৫)।
রোববার (২৯ মে) রাত ১২টার দিকে কমলগঞ্জের মুসলিম মণিপুরী পল্লীর আদমপুর ইউনিয়নের কেওয়ালীঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গফুর ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
আহত হাসতন নেছাকে রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয় ছেলে জহির ইসলামের (২৮)। এক পর্যায়ে জহির ঘরে থাকা শাবল দিয়ে বাবা গফুরের মাথাসহ শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এ সময় মা হাসনত নেছা স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যান জহির। পরে বাড়ির লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল গফুরের মৃত্যু হয়।
বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলের ঝগড়ার কারণ জানা যায়নি। তবে জহিরুল ইসলাম মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘জহিরুল অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তারা প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মাঝরাতে হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে জহিরুল মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটায়।’
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, জহিরুল মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।