ফুটবলে ধীরে ধীরে শক্তি খয়ে যাওয়া এক দল বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিংয়ে সমপর্যায়ে থাকা দলের বিপক্ষেও যারা হাঁপিয়ে ওঠে। সেখানে ২৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলকে ‘আটকে’ দেওয়া ভালো প্রাপ্তি বটে। তাও প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে। দলকে ঐতিহাসিক এই ড্র এনে দিয়েছেন গোলরক্ষক জিকো।

নতুন কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে রক্ষণটা ভালো সামলেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। বুধবার ইন্দোনেশিয়ার জালাক হারুপাত সোরিয়াং স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে গোল শূন্য সমতা করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সাতবারের দেখায় দ্বিতীয়বার সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে। আগের ড্র এসেছিল ৩৭ বছর আগে। 

ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ছকে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ক্যাবরেরা ৪-৪-২ ছক অর্থাৎ রক্ষণ দেয়াল তুলে খেলার পণ নিয়ে নেমেছিলেন। অন্যদিকে স্বাগতিকরা নেমেছিল ৪-৩-৩ ছকে। প্রত্যাশা মতো আক্রমণও তারা করেছে। কিন্তু গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে ফাঁকি দিতে পারেনি। 

এই নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে সাত দেখায় দু’বার ড্র করলো বাংলাদেশ। দু’দল ১৯৭৫ সালে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল। বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-০ গোলে। দ্বিতীয় দেখার আগে পেরিয়ে যায় নয় বছর। ১৯৮৪ সালে ২-১ গোলে হারে লাল-সবুজের দল। 

পরের বছর (১৯৮৫) তিনবার মুখোমুখি হয় দু’দল। ফুটবলে বাংলাদেশের তখন উত্থানের সময়। সোনালি দিন। ওই তিন দেখার প্রথমটিতে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। পরেরটায় জয় তুলে নিয়েছিল ২-১ গোলে। যা ফুটবলে বাংলাদেশের ইতিহাস সেরা জয়ের একটি। ওই বছরের তৃতীয় দেখায় ১-১ গোলে সমতা হয়েছিল। এরপর সর্বশেষ ২০০৮ সালে মুখোমুখি হয়ে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *