সারাদেশে বন্যায় গত ১৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
তবে জেলাভিত্তিক হিসাব করলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সিলেটে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহে।
অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে মঙ্গলবার বিকেলে পাঠানো বন্যাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সারা দেশে নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পানিতে ডুবে এবং ভেসে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে।
এই বন্যায় সিলেট অঞ্চলে ২০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহেও বৃহত্তর সিলেট এবং ময়মনসিংহের নেত্রকোণা ও শেরপুরে বন্যা দেখা দেয়। সে সময়ও বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়। রংপুর বিভাগেও কয়েকজন মারা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে তিনজন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৮ জনসহ মোট ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানিতে ডুবে মারা গেছে ১৭ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ জন মারা গেছে বজ্রপাতে। একজনের মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। অন্য নানা কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের।
জেলাভিত্তিক মারা যাওয়া তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিলেট। ১৭ মে থেকে ২১ জুনের মধ্যে সিলেট জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়।
সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহে মৃত্যু হয়েছে সমান সংখ্যায় পাঁচজন করে।
এ ছাড়া নেত্রকোণায় চারজন, মৌলভীবাজার, জামালপুর ও শেরপুরে তিনজন করে এবং কুড়িগ্রামে দুইজন ও লালমনিরহাটে একজন মারা গেছে।