কানাইঘাটের মঈন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ১ম খন্ড (সিঙ্গারীপার) গ্রামের শফিকুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। থানার মামলা নং- ২১, তারিখ- ৩০/১১/২০২২ইং।

মামলায় কানাইঘাট থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত একই গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলিম উদ্দিন, তার ভাই আলী হোসেনসহ পরিবারের ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মঈন উদ্দিন প্রায়ই গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলী হোসেনের বসতবাড়িতে যাতায়াত করতো। একপর্যায়ে আলী হোসেনের ভাগ্নি তানিয়া বেগমের সাথে মঈন উদ্দনের সখ্যতা গড়ে উঠলে আলী হোসেন, আলিম উদ্দিনসহ তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি। তারা মঈন উদ্দিনকে তাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করে এবং তানিয়া বেগমের সাথে কথা না বলার জন্য গালাগালি করে। মঈন উদ্দিন এর প্রতিবাদ করলে সম্প্রতি তাকে আলিম উদ্দিন ও তার ভাই আলী হোসেন হত্যার হুমকি দেয়। এতে আলিম উদ্দিন, আলী হোসেন ও তাদের ভাগ্না মারজান গংরা মঈন উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে গত সোমবার রাতে মঈন উদ্দিনকে কৌশলে ফোন দিয়ে একই গ্রামের মারজানের বাড়িতে নেয়। সেখানে মঈন উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার লাশ গ্রামের সাধন দাসের বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে ফেলা রাখা হয়।

থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, মমতা বেগম ও তানিয়া বেগমের সাথে মঈন উদ্দিনের সখ্যতা থাকার কারণেই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। তানিয়া বেগমের বাড়িতে মঈন উদ্দিনকে কৌশলে ডেকে নিয়ে সোমবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে হত্যা করার পর পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতের মাঠে তার ফেলে দেয়া হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার দায়ে এজাহারভুক্ত আসামি আলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *