তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিয়ানীবাজারে ঘন্টাখানেক সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অবরোধকারী কর্তৃক একজন পথচারীকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুর ১টার দিকে বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকা বারইগ্রাম-চান্দগ্রাম সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। আহত পথচারীর নাম শরিফুল ইসলাম (৬৫)। সে বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চান্দগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার নেপথ্যে কারা, পথচারীর উপর হামলা ও চুরিকাঘাতকারীকে সনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার আদর্শ কলেজে তানিম আহমদ নামে এক শিক্ষার্থীর সাথে কলেজের আরেক শিক্ষার্থীর মারামারির ঘটনা ঘটে। তানিম আহমদের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের নন্দিরফল গ্রামে। অপর শিক্ষার্থীর বাড়ি বড়লেখা উপজেলায় জানা গেলেও গ্রামের নাম সঠিক জানা যায়নি। তাদের মারামারির ঘটনা তানিম আহমদ এসে বারইগ্রাম বাজারে তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকার লোকজনকে জানালে তারা দুই উপজেলা সংযোগস্থল বারইগ্রাম-চান্দগ্রাম সেতুতে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় সেতুর উভয় পাশে শতশতগাড়ি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও তারা আরো উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এসময় সেখানে উপস্থিত শরিফুল ইসলাম নামে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী যানজট ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির ভিডিও চিত্রধারণ করতে গেলে আবরোধকারীরা তার উপরও হামলা চালিয়ে তাকে চুরিকাঘাত করে। আহত ঐ প্রবাসীর বাড়ি বড়লেখার চান্দগ্রামে হওয়ায় বিষয়টি আরো উত্তেজিত হয়ে এবং উভয় পাশে দুই উপজেলার লোকজন জড়ো হতে থাকেন। পরে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বাজার কমিটির দায়িত্বশীলরা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঘটা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিষয়টি দুই উপজেলার মানুষকে মুখোমুখি অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং সড়ক অবরোধ করার ঘটনায় বিশেষ একটি মহলের স্বার্থ দেখছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক পূর্ব বিরোধ মেঠাতে এমন জনস্বার্থ বিরোধী কাজে ইন্দন দিয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের জের নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি সতর্কতার সহিত নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে। তবে কে বা কারা এমন ঘটনার ইন্দন দিয়েছেন তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।