ঈদুল আযহার আর মাত্র দুইদিন বাকি। আজ পরে একদিন রয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবের। ঈদুল আযহার কোরবানির জন্য বিয়ানীবাজারে বসেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিয়ানীবাজার পৌরসভার অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে পিএইচজি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। একই সাথে বারইগ্রাম বাজার, মাথিউরা বাজার ও চারখাইবাজারেও বসেছে পশুর হাট।

এসব হাটে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমান পশু বিক্রির জন্য তোলা হলেও দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই নগন্য। বিক্রেতাদের আশা বিকালের দিকে হাটগুলো সরগরম হয়ে উঠবে।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার অস্থায়ী পশুর হাটে ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী ১২টি গরু নিয়ে এসেছেন সকাল ১১টার দিকে। দুপুর পর্যন্ত দু/একজন ক্রেতা দরদাম করলেও কোন গুরু বিক্রি হয়নি। তিনি জানান, প্রচন্ড রোদ থাকায় ক্রেতারা হয়তো বিকালের দিকে বাজারে আসতে পারেন। বর্তমানে ক্রেতার উপস্থিতি তেমন একটা নেই। একই অবস্থা অন্যান্য হাটগুলোর। পৌরসভা হাটে নিজ ঘরের ১২ মণ ওজনের ষাঁঢ় নিয়ে এসেছেন এজেন্সি ব্যবসায়ী ছফর উদ্দিন। মাথিউরা বাজারে গত শুক্রবার তার এ ষাঁঢ় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাম হয়েছে। তিনি তিললাখ টাকার কাছাকাছি পেলে বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন। হাটে কালো রঙের দৈত্যকায় ষাঁঢ়টির দাম হাকাচ্ছেন সাড়ে ৩ লাখ টাকা।

ক্রেতা মুকিত উদ্দিন গত তিন দিন ধরে পছন্দের গরু কিনতে কয়েকটি হাটে ঘুরছেন। গরু পছন্দ হলেও উচ্চ মূল্যের কারণে তার গরু কেনা হয়নি। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার গরুর মূল্য খুবই চড়া। বাজেটের মধ্যে পছন্দের গরু কিনতে পারায় তিনি হতাশ। তারপরও আশা ছাড়েননি। আজ কিংবা কাল তিনি গরু কিনতে পারবেন বলে জানান। পছন্দের গরু কিনতে এক হাট থেকে অন্য গাটে ছুটছেন ক্রেতারা। গরু পছন্দ হলেও নির্ধারীত বাজেটে সেগুলো হচ্ছে না। তাই কিছুটা হলেও ক্রেতারা পড়েছেন বেকায়দায়। আহমদ হোসেন নামে একজন ক্রেতা বলেন, একলাখ টাকার মধ্যে গরু কিনতে হবে। একই সাথে গরু ছামড়া ছাড়ানো, কাটার জন্য ৩/৪ হাজার টাকা খরচ পড়ে। সব মিলিয়ে আমাদের বাজেটের গরুর দাম খুবই চড়া।

বারইগ্রাম বাজারের ইজাদারদের একজন আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বাজারে যথেষ্ট পরিমান পশু রয়েছে। আমরা পশুর হাসিলের বিশাল ছাড় দিয়েছি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ন্যূনতম লাভ না পেলে গরু বিক্রি করছেন। একই মন্তব্য করেন মাথিউরা বাজারের ইজারাদার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন। ক্রেতাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে গরুর হাসিল ৩শত টাকার এবং ছাগল ও ভেড়ার হাসিল ১শত টাকা ধার্য্য করেছেন। গত শুক্রবার ও গতকাল সোমবার প্রচুর পশু বিক্রি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার দামের দিক দিয়ে অনেক ভাল বাজার ছিল।

এদিকে প্রত্যেক হাটে নিরাপত্তার জন্য বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের অবস্থান থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাচ্ছন্দে হাটে অবস্থান করেছেন। ঈদের দিন পর্যন্ত উপজেলা জুড়ে থানা পুলিশের টহল অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *