৫০ বছরে পা দিচ্ছে বাংলাদেশ। দেরিতে হলেও দেশে চলছে ১৯৭১ এর মানবতাবিরোধীদের বিচার। কিন্তু এখনো জাতিসংঘের গণহত্যার তালিকায় আসেনি ৯ মাসে ৩০ লাখ মানুষকে নির্বাচারে হত্যার ঘটনা। মানবিক এ বিপর্যয়ের শুরুটা হয়েছিল একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে। ফিরে দেখা অগ্রজদের আত্মত্যাগের রক্তঝরা ইতিহাসকে।
দেশে চলছিল কারফিউ। রাত থেকে শুরু হয় ঘুমন্ত জনতার ওপর তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার অপারেশন সার্স লাইট। অধ্যাপক মেসবা কামালের বর্ণনায় জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিল খানা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, পুরান ঢাকার শাখারিপট্টিসহ অনেকগুলো জায়গায় হামলা করে পাকিস্তানি বাহিনী। একটা ছিল নির্বিচার গণহত্যা। আরেকটা ছিল টার্গেটেড গণহত্যা। জহুরুল হক হলের ভেতরে যারা ছিল তাদের তো হত্যা করেছেই। যারা মাঠ দিয়ে আসছিল তাদেরকেও হত্যা করেছে। বিশ্বের যে কোনো গণহত্যাকে ছাড়িয়েছে এ নৃশংসতা।ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে পরিকল্পিত গণহত্যা। সেই রাতে রাজধানী ঢাকা শহরে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়।