দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দলের সকল নেতাকর্মীর মুক্তি, সকল মামলা প্রত্যাহার ও সংসদ বাতিলের দাবিতে জেলা কমিটির উদ্যোগে সিলেটে কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে দক্ষিণ সুরমার টেকনিক্যাল রোডে এ মিছিল হয়। দক্ষিণ সুরমার মারকাজ পয়েন্ট থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে কিন ব্রিজের দক্ষিণ মুখ পর্যন্ত যাওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দল পুলিশের উপস্থিতিতে মিছিলটি সংক্ষিপ্ত করে জেলা বিএনপি।
বিএনপির মিছিলকে কেন্দ্র করে মারকাজ পয়েন্টসহ আশপাশ এলাকায় পুলিশের বিশেষ টিম সিআরটি (কুইক রেন্সপন্স টিম) এবং দক্ষিণ সুরমা থানার কয়েকটি দল মোতায়ের করা হয়।
জেলা বিএনপি দাবি- মঙ্গলবার বেলা দুইটায় মারকাজ পয়েন্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি দিয়েছিল সিলেট জেলা বিএনপি। সেই মোতাবেক পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। কিন্তু মিছিল শুরু হওয়ার ঘন্টাখানেক পূর্ব থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের বিপুল সংখ্যক সদস্যা কর্মসূচি এলাকা ও আশপাশে অবস্থান নেয়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে তারা ব্যাপক বাঁধা দেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মসূচির স্থান পরিবর্তন করে টেকনিক্যাল রোডে মিছিল বের করা হয়।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রশাসনের সাথে বার বার কথা বলেছি। একটি স্বাধীন দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আর আমরা গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ব মিছিল করতে পারব না? সংবিধানে বাকস্বাধীনতার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এখন বাকস্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নেয়া হয়েছে। আজকে আমাদের কর্মসূচিস্থলে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিলো- তা দেখে মনে হয়েছে এটি যেন যুদ্ধক্ষেত্র।
তিনি বলেন, সরকার আমাদের সাংবিধানিক অধিকারটুকুও কেড়ে নিচ্ছে। এখন বেঁচে থাকলে হলে রুখে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছ। এখন সামনের দিকে ধাক্কা ছাড়া আর কোনো উপায়।
কালো পতাকা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল, কোহিনূর আহমেদ, শাকিল মোর্শেদ, আব্দুল লতিফ খাঁন, সহ দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আলাই, সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শামসুর রহমান সুজা, সহ ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বখতিয়ার আহমদ ইমরান, নুরুল আমিন দুলু, আব্দুল মালিক মল্লিক, আব্দুল জলিল, রায়হানুল হক, এমদাদ হোসন, জয়নাল আবেদীন, হাসান হাফিজুর রহমান টিপু, রাসেল আহমদ, নুরুল আমিন, আশিকুর রহমান রানা, আশিক মিয়া, লুতফুর রহমান, আহমদ আলী, রাজু আহমদ, ফয়সাল আহমদ ও রাসেল আহমদ প্রমুখ। এছাড়া বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।