বিয়ানীবাজার পৌরশহর ও আশপাশ এলাকায় নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বর্ষা মৌসুমে সবজি দামে যেন আগুন ঝরছে। দিনভর বৃষ্টির মাঝে সবজি গায়ের আগুনে পুড়ছেন ক্রেতারা। একই সাথে উর্ধ্বমূখী রয়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রায় এক বছর পর ব্রয়লার মোরগের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অল্প হলেও স্বস্তি ফিরেছে। তবে ডিমের দাম নিয়ে অস্বস্থি দেখা দিলেও স্বস্থি ফিরেছে মাছ বাজারে।
শনিবার পৌরশহরের নিত্যপণ্যের বাজারে গিয়ে দেখা যায় একটি ডিম কিনতে ক্রেতাকে গুণতে হচ্ছে ১৪ টাকা। ১০ টাকা করে কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। একই সাথে সোনালী মোরগ ও লেয়ার মোরগের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সোনালি মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায় এবং লেয়ার মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭শ’ টাকায়।
ডিমের মতো সপ্তাহের ব্যবধানে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বিক্রেতাদের দাবি আমদানি কমে আসায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ (এলসি) বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায় সব ধরনের সবজি দাম বেড়েছে। এককেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ১শত টাকা। তবে শত টাকার উপরে উঠে গেছে করলার দাম। প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও বেশ চড়া।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম কেজি প্রতি কমেছে দেড়শ থেকে দুইশত টাকা। একই সাথে বাজারে স্থানীয়ভাবে আহরণ করার মাছের সররাহ বেড়েছে। বিক্রেতাদের দাবি আমদানি বাড়ায় বাজারে মাছের দাম সহনীয় মাত্রায় নেমেছে। রুই মাছ ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছের দামও কেজিতে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
নিত্যপণ্যের বাজারে কিছু পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বেশ কিছু পণ্যের দাম অনিয়ন্ত্রিত থাকছে। ব্রয়লার মোরগ ও মাছের দাম কিছুটা কমলেও সবজি দাম চড়া হওয়ায় ক্রেতাদের ভোগতে হচ্ছে। বাজারে এক সাথে সব ধরনের পণ্য সহণীয় পর্যায়ে না থাকায় বেশ সংকটের মধ্যে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.