চলতি বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মেরেকেটে ১৪৯ রান তুলতে পেরেছিল চিটাগং কিংস। সে রান হেসেখেলেই পেরিয়ে যায় বরিশাল। এবার টুর্নামেন্টের মেগা ফাইনালে তাদের সামনে লক্ষ্যটা আরেকটু কঠিন করে দিল চট্টলার দলটি। পারভেজ হোসেন ইমন আর খাজা নাফে–এই দুই ওপেনারের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে চিটাগংয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯৪ রান।মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে হয় চিটাগংকে। শুরু থেকেই বরিশালের বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন দলটির দুই ওপেনার ইমন এবং পাকিস্তানের নাফে। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তুলে ফেলে চট্টলার দলটি।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে হয় চিটাগংকে। শুরু থেকেই বরিশালের বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন দলটির দুই ওপেনার ইমন এবং পাকিস্তানের নাফে। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তুলে ফেলে চট্টলার দলটি।
পাওয়ার প্লের পর ব্যাটিংয়ের ধার আরও বাড়ে দুই ওপেনারের। বরিশালের বোলারদের রীতিমত শাসন করে ১১ ওভারে শতরান স্পর্শ করে তাদের জুটি। ৩০ বলে ফিফটির দেখা পান ওপেনার ইমন। পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছাতে ইমনের চেয়ে ৭ বল বেশি খরচ করেন নাফে।
বরিশাল অধিনায়ক তামিম ততক্ষণে নিজের বোলিং তূণের সব অস্ত্র বাজিয়ে দেখেছেন। কিছুই কাজে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত যেন অনেকটা নিজে থেকেই উইকেট ছুঁড়ে দেন চিটাগং ওপেনার নাফে। ১৩তম ওভারের ইবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। তবে ফেরার আগে এই পাকিস্তানি ব্যাটে এসেছে ৪৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কা সহযোগে ৬৬ রান।
নাফে ফিরলেও চিটাগংয়ের রান তোলার গতিতে খুব একটা হেরেফের হয়নি। তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে ক্লার্কের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৭০ রান। শেষ ওভারে ক্লার্ক রানআউট হয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরের পথ ধরার আগে ২৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ রান করেন এই ইংলিশ ব্যাটার।
আর ৪৯ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৮ রান আসে ওপেনার ইমনের ব্যাটে। ৬ চারের সঙ্গে ৪টি বিশাল ছক্কায় এই রান করেন তিনি।
বরিশালের পক্ষে সেরা বোলিং করেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলী। দলের অন্য বোলাররা যেখানে প্রচণ্ড খরুচে ছিলেন, সেখানে ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় ১ উইকেট শিকার করেন তিনি। চিটাগংয়ের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে পাঁচ উইকেট ঝুলিতে পুরেছিলেন এই পেসার।
সে ম্যাচে তাওহিদ হৃদয়ের ৮২ রানের হার না মানা ইনিংসে ১৬ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। এবার ফাইনালে তাদের সামনে লক্ষ্য ১৯৫ রান। পাহাড়সম এই লক্ষ্য তাড়া করতে তামিম-হৃদয়দের ব্যাটে বড় ইনিংস চাই বরিশালের।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.