বর্তমান সময়ে বড় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তরা । নিম্নবিত্তের সাহায্যে অনেকে এগিয়ে আসলেও মধ্যবিত্ত কে সাহায্য করার জন্য তেমন এগিয়ে আসার চিত্র নাই বললেই চলে ।

শ্রমজীবী , রিক্সা চালক, পরিবহন ড্রাইবার , ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী , মোদি দোকানদার , প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষক , গৃহ শিক্ষক , মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন বেসরকারী স্কুল, কলেজ , মাদ্রাসার শিক্ষক সহ নিজের পরিবারের খরচের জন্য অন্যের কাছে কোনদিন হাত না পেতে পরিবারের বরন-পোষন চালানোর ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষরাই মধ্যবিত্ত।

করোনার এমন পরিস্থিতিতে তারা হাজার কষ্টের মধ্যে থেকেও কাউকে বলতে পারতেছে না সাহায্যের জন্য আর না পারতেছে পরিবার পরিজনের ক্ষুধা নিবারন করতে ।
মধ্যবিত্তের কষ্ট উচ্চবিত্ত বা নিম্নবিত্তরা বেশ ভালো করে অনুধাবন করতে না পারলেও একজন মধ্যবিত্ত আরেক মধ্যবিত্তের কষ্ট সহজেই অনুধাবন করতে পারে ।

নিম্নবিত্তদের কে সবাই সাহায্য করতেছেন নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী । আবার নিম্নবিত্তরা কারো কাছ থেকেও চেয়ে নিয়ে আসতে পারলেও মধ্যবিত্তদের দ্বারা তা সম্ভব হয় না ।

এমন কঠোর পরিস্থিতির সময় আমাদের উচিত মধ্যবিত্তদের কেও সাহায্য করা । তারা আজ পরিস্থিতির স্বীকার । এক সময় যারা নিম্নবিত্তদের সাহায্য করত আজ তারাও অঘোষিত নিম্নবিত্তদের তালিকায় ।

কোনমতে একবেলা খেয়ে দুই বেলা না খেয়ে দিনাতিপাত করতেছেন অনেকে। কিন্তু কখনো তারা তুমাকে বলবেনা – আজ দুই দিন থেকে না খেয়ে আছি , যা আছে তা দিয়ে বাচ্চাদের কে কোন মতে এক বেলা করে দুই একদিন চালাতে পারব ।
কষ্টের আর্তনাদ বুকের ভিতরে চিৎকার করে বের হতে চাইলেও মুখ দিয়ে তা আসতে বাধা দেয়াই মধ্যবিত্ত ।

যারা কোন দিন কারো কাছে চায় নি তারা এমন পরিস্থিতে চাইবেনা সত্যি কিন্তু ভিতরে ভিতরে , লোক চক্ষুর আড়ালে কাদঁতেই থাকবে ।

সমাজের বিত্তবানদের কাছে আকুল আবেদন
আসুন আমরা নিম্নবিত্তদের পাশাপাশি কিছু মধ্যবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসি ।

ইনশা আল্লাহ
এমন পরিস্থিতি থাকবেনা সত্যি
কিন্তু এমন কঠিন সময়ে আপনার কিছু সাহায্য মধ্যবিত্তদের মুখে হাসি ফুটাতে সহায়ক হবে ।

কামরুল হাসান মুন্না

সম্পাদক: বৈরাগীবাজার নিউজ ডট কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *