শুক্ষ মৌসুমের অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে ভাঙছে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী জরপদ। যাতায়াত, সড়ক, হাট বাজার, মসজিদ মাদ্রাসা, বাড়ি ঘর ও কবরস্থানসহ বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। অবৈধ প্রক্রিয়া নদীর গতিপথ বিনষ্ট করায় পুরো বছর জুড়ে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকে কুশিয়ারা নদীর বিয়ানীবাজার উপজেলার তিন ইউনিয়নের বিস্তৃণ জনপদ।
কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে হুমকি মূখে রয়েছে উপজেলার শতবর্ষের পুরাতন হাট বৈরাগীবাজার। দেশ স্বাধীনের পূর্ব কে আজোবধি ভাঙ্গনের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড। দায়িত্বশীলরা অনেকবার ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করলেও কোন ব্যবস্থা নেননি। অথচ এ বাজার থেকে প্রতি বছর সরকার রাজস্ব আয় করে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।
নদীর ভাঙ্গনে বৈরাগীবাজার অংশের নদী তীরবর্তী গ্রামীন সড়ক বিলীন হওয়ার পথে। এর আগে পাকা ভবন ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে। মসজিদের মুসল্লি ও শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ী -সাধারণ মানুষের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গন রোধ করার দাবি স্থানীয়দের।

প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভাঙ্গনের বিষয়টি অবহিত করতে জানিয়ে কুড়ারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তুতা বলেন, শতবর্ষী পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বৈরাগীবাজার রক্ষা করতে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের আহবান জানাচ্ছি।
বর্ষা মৌসুমের ভারত থেকে আসা ঢল আর শুষ্ক মৌসুমে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী দুবাগ ইউনয়িনের চরিয়া, নয়া দুবাগ, শেওলা ইউনিয়নের বালিঙ্গা, কাকরদিয়া ও তেরাদল এবং কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বৈরাগীবাজার, আকাখাজানা, আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর ও গোবিন্দ্র শ্রী এলাকায় বিলীন হচ্ছে জনবসতি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.