শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়নের বাঙ্গালহুদা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম। বুধবার (৩ জুন) বিকাল ৩টায় তিনি সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমের মৃত্যুকে ঘিরে স্থানীয় এলাকায় নতুন এক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। মারা যাওয়া ওই মুক্তিযোদ্ধার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ছিল বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ। তিনি বলেন, করোনা উপসর্গ থাকায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পূর্বে তিনি মৃত্যুবরণ করায় আমরা করোনা পজেটিভ ধরে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন কার্য সম্পন্ন করতে দুবাগের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই। কিন্তু মরহুমের স্বজনরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করতে বাধা দেন। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী টিম নিয়ে ফিরে এসেছি।
অপরদিকে স্বজনরা দাবি করছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন। স্বজনরা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধ্যকজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি করোনা রোগী নন। মরহুমের জানাজার নামাজ বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটের সময় বাঙ্গালহুদা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
দুবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেননি। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলরা সন্দেহের ভিত্তিতে দুদিন পূর্বে তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করেন। সেই নমুনা রিপোর্টের ফলাফল এখনো আসেনি। তাই উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরহুমের দাফনকার্য সম্পন্ন করতে চেয়েছিল। পরে উপজেলা ও স্বাস্থ্য প্রশাসন এবং মরহুমের স্বজনদের সমঝোতার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিমের জানাজা ও দাফনকার্য স্বাভাবিক নিয়মেই সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমের মরদেহ সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করেছে বিয়ানীবাজার থানার একদল পুলিশ।
তথ্যসূত্রঃ বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪ডটকম