টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ আসামির মধ্যে ৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাকে কক্সবাজার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এ আদেশ দেন। সিনহা হত্যার মামলার তদন্তের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করতে পারে র‌্যাব বলে জানা গেছে। 

এর আগে, পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা নিহতের ঘটনায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামে আত্মসমর্পণ করেন। পর সেখান থেকে তাকে কক্সবাজার আদালতে নিয়ে আসা হয়। 

সকালে তাকে আটক করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরপর দুপুরে টেকনাফ থানার সাবেক ওসিকে নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা হয় পুলিশ। সিনহার বোনের করা মামলার দুই নম্বর আসামি প্রদীপকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। 

সিএমপি জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে হত্যা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে র‌্যাব। এ কারণে প্রদীপ কুমারকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করার পর, আদালতের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ নেয়া হলো। 

গত ৫ জুলাই রাতে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার কর হয়। 

গত ৩১ জুলাই ঈদের আগের রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। তার গাড়িতে থাকা তার সঙ্গী সিফাতের ভাষ্যমতে, সিনহাকে কোনোরূপ জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই চেকপোষ্টে গাড়ি থেকে নামতে বলে চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে হত্যা করেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলী। 

এর ঘটনার বিচার চেয়ে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি গ্রহণ করেন। তিনি এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলাটি তদন্ত করে আদালতকে জানানোর জন্য র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *